বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কতৃক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর লতিফ হাজ্বীর মোড়ে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জনসভায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির নেতা আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
প্রধান অতিথি এড. আবুল কালাম তার বক্তব্যে বলেন, জালাল হাজ্বী পরিবার নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। জালাল হাজ্বী পরিবার বলতে জালাল হাজ্বী, আবুল কালাম ও আবুল কাউছার আশাকে বোঝায়। এটা আমাদের তৃতীয় প্রজন্ম, এর বাইরে আর কেউ নেই। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছেন সেটা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। আপনারা জানেন আগামীতে একটি নির্বাচন আছে। এখানে সবাই জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা কি চান না ধানের শীষ জয় লাভ করুক। আমরা আশাকরি বিএনপি এ ভুল করবেনা। আমরা সবাই পরিক্ষীত সৈনিক। আল্লাহ যেন আমাদের ঈমানটা ঠিক রাখে এবং আমরা যেন শেষ পর্যন্ত পৌছাতে পারি।
প্রধান বক্তা আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, আমি আপনাদের মতই একজন সাধারণ কর্মী। আমার হাতে যে কাগজটি দেখছেন সেটা হলো, ২০১৭ সালে আমি বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন করেছি তার প্রমান। আমরা জানতে পেরেছি যারা মামলা, হামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদেরকে ক্রেস্ট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু উপহার আর কারাবাস এক নয়। আমরা কোন ঝগড়া, বিভেদ চাই না। যারা এখানে উপস্থিত আছেন প্রত্যেকেই শান্তিপ্রিয়। আমরা ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে জয় করতে চাই। আমরা টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাই না, আমরা ভালোবাসা দিয়ে ভোট কিনতে চাই।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউছার আশা বলেন, আমাদের পাশেই একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে এবং সেখানে জুলুম, অত্যাচারের শিকার নেতাকর্মীদের ক্রেস্ট দিচ্ছে। আপনারাই বলুন আমরা যারা জেল-জুলুম ও অত্যাচারের শিকার হয়েছি তাদের জন্য কি ক্রেস্ট বেশী দরকার নাকি যে আমাদের নেতৃত্ব দিবে জেল-জুলুম, কারা নির্যাতনের শিকার এমন নেতা বেশী দরকার। আজ এমন একটি মধুর সমস্যায় আছি যদি মাসুদ সাহেবের পাশে গিয়ে দাঁড়াই তাহলে বার বার প্রশ্ন করা হবে কি ভাই কত পেয়ে গেলেন, কত টাকা দিয়ে নিয়ে গেল। যদি আমাদেরকে ভাঙ্গার চেষ্টা করেন তাহলে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাবো। কারন আমাদের শক্তি টাকায় না ভালোবাসায়। আসেন দেখে যান ভালোবাসার জোয়াড়। বিচলিত হওয়ার কারন নেই, যদি লন্ডন থেকে ম্যাসেজ আসে তাহলে উপস্থিত সকলেই সেটা জানতে পারবেন। আমরা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি কোন দোসরের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবকিছুতে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকবো।
সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, দেশের মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে সেজন্য ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দলের জন্য মামলা, অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদেরকে ফুল আর ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দোসররা। এর থেকে হাস্যকর কি আর কিছু আছে। এখানে উপস্থিত সকলেই অজস্র মামলা ও জেলখাটা আসামী। দলের প্রতি আমরা পুরোপুরি আস্থাশীল। যেহেতু চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দল এখনো দেয় নি তাই এটাকে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয় তাহলে সেটা অন্যায় হবে। আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি কিন্তু আমাদের অপেক্ষাকে অবজ্ঞার চোঁখে দেখা হচ্ছে। দলের সাথে কখনো বেঈমানী করিনি আর ভবিষ্যতেও করবোনা। চূড়ান্তভাবে যে ধানের শীষ পাবে আমরা তার সাথেই থাকবো।
এছাড়াও জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য আওলাদ হোসেন ও বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাংগঠনিক নাসিরউল্লাহ টিপু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরিফা মায়া, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুয়েল সরদার সহ হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন