বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কতৃক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর লতিফ হাজ্বীর মোড়ে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জনসভায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির নেতা আবু জাফর আহমেদ বাবুল।
প্রধান বক্তা আবু জাফর আহমেদ বাবুল তার বক্তব্যে বলেন, আমাকে বার বার একজন শিল্পপতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় কিন্তু আমি বলবো, আমি আপনাদের মতই একজন সাধারণ কর্মী। আমার হাতে যে কাগজটি দেখছেন সেটা হলো, ২০১৭ সালে আমি বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন করেছি তার প্রমান। যদি আমার ভিতরে কোন ভয়ভীতি, শঙ্কা, লোভ-লালসা থাকতো, কোন দোসরের আস্তানায় গিয়ে বসার অভিলাস থাকতো তাহলে এ কাগজ আমি গ্রহন করতাম না। জনাব তারেক রহমানকে আমি বলেছিলাম, আমার কাগজ আপনি নবায়ন করে দিবেন। তখন তিনি বলেছিলেন লন্ডনে বসে এটা করা সম্ভব না। তখন আমি বলেছি, যখন আপনি বাংলাদেশে আসবেন তখন নবায়ন করে দিবেন৷ আমরা জানতে পেরেছি যারা মামলা, হামলা, নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদেরকে ক্রেস্ট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু উপহার আর কারাবাস এক নয়।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের একজন সন্ত্রাসী মাকসুদ, সে কিভাবে নিহত হয়েছে সেটা আমি জানি না কিন্তু আপনারা জানেন না সেই হত্যা মামলার আসামি আমি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি মামলায় আমাকে আসামী করা হয়েছে। আপনারা একভাবে নির্যাতিত হয়েছেন আর আমি আরেক ভাবে নির্যাতিত হয়েছি। বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে কিন্তু আমাকে কারাগারে নিতে পারেনি কারন আমার কিছু শ্রমিক আছে যারা রাস্তায় নেমে আসবে। আমার বাড়ি-ঘর লুট করা হয়েছে। এসপি রাসেলের নেতৃত্বে ডিবি-পুলিশ বাহিনী বাড়িতে লুটপাট করেছে।
তিনি আরও বলেন, যে উদ্দেশ্যে এখানে একত্রিত হয়েছি সেটা হলো আমরা কোন বিভক্তি চাই না। গতকাল একজন বক্তা বলেছেন যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সেটা রক্ষার্থে প্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় যাবো, তারেক রহমান কাছে যাবো। যদি মনোনয়ন দিয়েই থাকে তাহলে তাঁদের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। তাহলে কোন ভয়ে এ কথা বললেন, আপনারা কি জেনে গিয়েছেন যে আপনাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এখানে যারা এসেছে তারা নিজেরা পায়ে হেঁটে এসেছে। আমরা এখান থেকে দেখেছি কিছু ট্রাক যাচ্ছে মানুষ ভর্তি, যারা কিনা উস্কানীমূলক জয়ধ্বনী দিয়েছে। আমরা কোন ঝগড়া, বিভেদ চাই না। যারা এখানে উপস্থিত আছেন প্রত্যেকেই শান্তিপ্রিয়। আমরা ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে জয় করতে চাই। আমরা টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাই না, আমরা ভালোবাসা দিয়ে ভোট কিনতে চাই।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য আওলাদ হোসেন ও বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাংগঠনিক নাসিরউল্লাহ টিপু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরিফা মায়া, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুয়েল সরদার সহ হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন